আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চনপাড়াবাসীকে ভূমির মালিকানা দেওয়ার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

টি.আই.আরিফ:

দীর্ঘদিন যাবত চনপাড়াবাসীকে ভূমির মালিকানা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি , বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, এমপি। সংসদেও তিনি চনপাড়াবাসীর পক্ষে কথা বলেছেন। গতকাল রূপগঞ্জে বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্টোরেল এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চনপাড়াবাসীকে ভূমির মালিকানা দেওয়ার দাবি জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। আমি জানি রূপগঞ্জের চনপাড়ায় ৬০ হাজার পরিবার। এই ৬০ হাজার মানুষ এসেছিলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন সারা বাংলাদেশে গণহত্যা চালায় অগ্নিসংযোগ করে, ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিলো। বহু পরিবার ছিন্নমূল হয়েছে ঢাকায় এসেছিলো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় স্থান করে দিয়েছিলেন। রূপগঞ্জের চনপাড়া সেই ধরণের একটি জায়গা। সেখানে এই পরিবারগুলো এখনও আছে কিন্তু ভূমির মালিকানা তাদের নাই। আমি ইতোমধ্যে ভূমি সমস্ত তথ্য চেয়েছি। সেই তথ্য সংগ্রহ করে ওখানে যারা বসবাস করে উপযুক্তভাবে যাতে বসবাস করতে পারে আশ্রয়ন প্রকল্পে আমরা যেভাবে ভূমি দিয়েছি সেইভাবে তাদের ভূমির মালিকানা যাতে দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা আমরা নেবো। তাছাড়া আরও কোথাও ভূমিহীন থাকলে আমাদেরকে জানাবেন। এর আগে পাতাল মেট্টোরেল এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন ফলক উন্মোচনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোলাম দস্তগীর গাজীকে হাত উচু করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাতে বলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক হাত উচু করে অনুষ্ঠানে আগতদের শুভেচ্ছা জানান। এসময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপিসহ অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রূপগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জের ভাই বোনেরা, রূপগঞ্জে এসেছি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইল ফলক উন্মোচন হলো। আমরা পাতাল রেলের কাজ উদ্বোধন করলাম। এর আগে আমরা উড়াল সেতু ,মেট্টোরেল উপহার দিয়েছি । এবার মাটির নিচ দিয়ে যাবে পাতাল রেল। আওয়ামীলীগ কথা দিলে কথা রাখে। আমরা সেই কথা রেখেছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে তিনটি মেট্টোরেলের লাইন করার পরিকল্পনা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ কিন্তু সব জায়গায় আছে। এটা আমি বলেছিলাম নারায়ণগঞ্জ একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা। কাজেই এখানে অনেক কিছু হচ্ছে। আড়াইহাজারে জাপানের সহায়তায় একটা স্পেশাল ইকোনোমিক জোন তৈরী করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের লিংক রোর্ড আমরা ৬ লেনে উন্নতি করে দিচ্ছি। রূপগঞ্জের পূর্বাচলে আমরা একটা নতুন শহর গড়ে তুলছি। এটা স্মার্ট শহর হবে। আর নারায়ণগঞ্জকে আমরা স্মার্ট জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী, শামীম ওসমান এমপি, নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, সেলিম ওসমান এমপি, লিয়াকত হোসেন খোঁকা এমপি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমটিসিএল) এমএএন সিদ্দিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শাহ্জাহান ভুঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, কাঞ্চন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাহেদ আলী, তোফায়েল আহমেদ আলমাছ, আরিফুল হক, আলহাজ¦ ছালাউদ্দিন ভুঁইয়া, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাউছার আহমেদ পলাশ প্রমুখ।